October 15, 2025 ঢাকা, বাংলাদেশ

Blog Post

সংবাদ বার্তা > সর্বশেষ > জুলাই জাতীয় সনদে চূড়ান্ত ঐকমত্য, তবুও সই নিয়ে অনিশ্চয়তা

জুলাই জাতীয় সনদে চূড়ান্ত ঐকমত্য, তবুও সই নিয়ে অনিশ্চয়তা

জুলাই জাতীয় সনদে চূড়ান্ত ঐকমত্য, তবুও সই নিয়ে অনিশ্চয়তা

এক বছরের প্রচেষ্টা ও আট মাসব্যাপী সংলাপের পর রাষ্ট্র সংস্কারে চূড়ান্ত হয়েছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫’। মঙ্গলবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সনদের চূড়ান্ত কপি পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী শুক্রবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করবে।

তবে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলোর মতবিরোধের কারণে শেষ মুহূর্তে সনদে স্বাক্ষর অনিশ্চয়তায় পড়েছে। এজন্য বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে।

বিবিসি প্রতিবেদন

2025-10-15

এক বছরের প্রচেষ্টা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আট মাসের সংলাপের পর রাষ্ট্র সংস্কারে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫। সনদ চূড়ান্তের পর মঙ্গলবার রাতেই চূড়ান্ত সনদ পাঠানো হয় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে।

আগামী শুক্রবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর এই সনদে স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে।

তবে এর বাস্তবায়ন নিয়ে দলগুলোর মতপার্থক্যের কারণে শেষ মুহূর্তে সনদ স্বাক্ষরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

সে কারণে আগে বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে।

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ঐকমত্য কমিশন যে জুলাই সনদের চূড়ান্ত কপি পাঠিয়েছে, তাতে দেখা গেছে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে অনেক বিষয়ে একমত হয়েছে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো।

তবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সংস্কার প্রস্তাবে ভিন্নমত জানিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। জুলাই জাতীয় সনদে সেগুলো যুক্ত করা হয়েছে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ সহ।

তবে, এই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সেই বিষয়ে আলাদা করে কোনো সুপারিশের কথা উল্লেখ করা হয়নি জুলাই সনদে।

যদিও জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত যেসব সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়েই বাস্তবায়ন করবে অন্তর্বর্তী সরকার।

সংস্কারের ৮৪ সিদ্ধান্তকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে রয়েছে সেই ৪৭টি সিদ্ধান্ত, সেগুলো বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। পরের ভাগে রয়েছে ৩৭টি সিদ্ধান্ত, সেগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে।

তবে সব দল শেষ পর্যন্ত সনদে সই করবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। সনদ বাস্তবায়নে গণভোট করার বিষয়ে একমত হলেও ভোটের দিন ও পথ-পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে এখনো মতভিন্নতা আছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একজন সদস্য বিবিসি বাংলাকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট কিংবা পরবর্তী প্রক্রিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। যে কারণে বাস্তবায়নের সুপারিশ সনদের সাথে যুক্ত করা হয়নি।গত বছরের পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের দিন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের চিত্র

কোন কোন প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়েছে?

কয়েক মাসের ধারাবাহিক সংলাপের পর গত ১৬ই অগাস্ট রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়া পাঠিয়ে এ নিয়ে মতামত নেয় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

পরে গত ১১ই সেপ্টেম্বর এটির চূড়ান্ত খসড়া পাঠানো হয় দলগুলোর কাছে। এরপর সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আরো দুই দফা দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে ঐকমত্য কমিশন।

মঙ্গলবার রাতে ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের যে চূড়ান্ত কপি পাঠিয়েছে, তাতে দেখা গেছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে বেশিরভাগ দলই একমত হয়েছে।

যেমন- একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার বিষয়ে ৩০টি রাজনৈতিক দলের সবাই একমত হয়েছে।

ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দল করার বিষয়ে একমত বিএনপি ও জামায়াতসহ ৩১টি রাজনৈতিক দল এবং জোট। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষে একমত বিএনপি ও জামায়াতসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।

জাতীয় সংসদে অর্থবিল ও আস্থা ভোট বাদে নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার পক্ষে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ৩০টি দল।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব নিয়ে সংবিধানের ধারায় পরিবর্তন আনার পক্ষে ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোট ঐকমত্য পোষণ করেছে। তবে এতে ৯টি রাজনৈতিক দলের নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতিতে বিএনপি ও জামায়াতসহ ২৯টি রাজনৈতিক দলই একমত। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতার বিধানের বিষয়েও অধিকাংশ দল একমত।

জাতীয় সংসদের নারী প্রতিনিধিত্ব পর্যায়ক্রমে ১০০-তে উন্নীত করার বিষয়ে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ সব দল ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে একমত ৩০টি দল; স্বাধীন ও স্থায়ী জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটি গঠনেও দলগুলোতে মতৈক্য হয়েছে; গণহত্যা ও ভোট জালিয়াতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কমিশন গঠনের প্রস্তাবেও ঐকমত্যে পৌঁছেছে ৩২টি দল।

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা (ফাইল ছবি)

ছবির ক্যাপশান,প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা (ফাইল ছবি)

ভিন্নমত আছে কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে?

এক ব্যক্তি একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধানের পদে থাকতে পারবেন না। এ প্রস্তাবে ২৫টি দল একমত হয়েছে। বিএনপিসহ পাঁচটি দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে।

সংবিধান বিলুপ্তি ও স্থগিত করণের বিষয়ে ২৯টি রাজনৈতিক দল একমত হলেও ভিন্নমত জানিয়েছে গণফোরাম, বাংলাদেশ জাসদসহ তিনটি দল।

সংসদের সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনে মতপার্থক্য রয়েই গেছে শেষ পর্যন্ত। উচ্চকক্ষে পিআরের পক্ষে জামায়াত এনসিপিসহ ২৩টি রাজনৈতিক দল ও জোট। এতে ভিন্নমত বিএনপিসহ সাতটি রাজনৈতিক দল ও জোটের।

সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি অংশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা উল্লেখ থাকবে। যেখানে ধর্ম নিরপেক্ষতা কথাটি থাকবে না। তবে প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতসহ ২৭টি দল একমত হলেও গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডিসহ কয়েকটি দল ভিন্নমত পোষণ করেছে।

সংবিধানের বর্তমান অনুচ্ছেদের সংশোধনপূর্বক ৭৭(১) এ যুক্ত করা হবে যে, এই সংবিধানের অধীনে একজন ন্যায়পাল থাকবেন। এতে ২৫টি দল একমত হলেও দ্বিমত পোষণ করেছে পাঁচটি দল।

জুলাই সনদে স্বাক্ষর পরবর্তী নির্বাচনে পাঁচ শতাংশ আসনে নারীদের মনোনয়নের বিষয়ে ২৭টি দল একমত হলেও ভিন্নমত দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।।

বাংলাদেশের সাংবিধানে বেশ কিছু সংস্কারের প্রস্তাব করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন

ছবির ক্যাপশান,বাংলাদেশের সাংবিধানে বেশ কিছু সংস্কারের প্রস্তাব করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন

‘নোট অব ডিসেন্ট’ যেগুলোতে, সেগুলোর কী হবে?

গত অগাস্টে যখন জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দেওয়া হয়েছিল, তখন সেখানে কোন কোন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে কিংবা কোন কোন প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়নি সেটা উল্লেখ করা হয়েছিল।

গত মঙ্গলবার রাতে দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত কপি পাঠানো হয়। সেখানে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবের সবগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

একই সাথে সেই প্রস্তাবনার পাশে কোন কোন সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত জানিয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছে সেটিও উল্লেখ করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “জুলাই জাতীয় সনদ যে বিষয়গুলো আছে সেখানে যেহেতু কিছু ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আছে, সেটাকে আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে”।

যে কারণে চূড়ান্ত সনদে এই বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সংস্কারের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্টকে (ভিন্নমত) স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

জুলাই সনদে দেখা গেছে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনসহ ৯টি সংস্কারের সিদ্ধান্তে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে।

ঐকমত্য কমিশনের একজন সদস্য বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, “যে সব দল সনদের যে সব প্রস্তাবনায় নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে, ওই দলগুলো নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় গেলে ওই সংস্কার প্রস্তাব মানতে বাধ্য থাকবে না”।

এর আগে গত পাঁচই অগাস্ট ঘোষণা করা হয় জুলাই ঘোষণাপত্র

সনদ সাক্ষরের পর বাস্তবায়ন কীভাবে?

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। প্রতিটি দল থেকে জুলাই সনদে সই করবেন দুইজন প্রতিনিধি।

এরই মধ্যে জুলাই সনদে সই করতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দুজন করে প্রতিনিধির নাম ঐকমত্য কমিশনে পাঠিয়েছে।

শুক্রবার সব রাজনৈতিক দল এই জুলাই সনদে সাক্ষর করার কথা। এটি সাক্ষরের পর। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারকে সুপারিশ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

অন্যদিকে, বাস্তবায়ন প্রশ্নে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকায় শেষ পর্যায়ে এই সনদ স্বাক্ষরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এমন পটভূমিতে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয়ঐকমত্য কমিশন আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন।

বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধে যাতে সনদ সই অনিশ্চয়তায় না পড়ে, সে কারণেই কমিশন এ কৌশল নিয়েছে বলে মনে করেন কেউ কেউ।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের শুরু থেকে প্রায় সব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও সিনিয়র আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম।

তিনি মনে করেন, জুলাই সনদ চূড়ান্ত হলেও গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ইস্যুতে এই সনদে বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে কোনো বিষয় উল্লেখ নেই। যে কারণে শেষ পর্যন্ত সব দল সই করে কি-না সেই সন্দেহও তিনি করছেন।

ঐকমত্য কমিশনের একটি সূত্র বলছে, আগেই বাস্তবায়ন ঠিক করলে কোনো কোনো দল সনদে সাক্ষর করা থেকে বিরত থাকতে পারে। যে কারণে সেই সিদ্ধান্ত ঐকমত্য কমিশন নিজে না নিয়ে সরকারের ওপর ছেড়ে দিচ্ছে।

গণভোট কবে ও কীভাবে হবে?

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় খুঁজে পেতে গত ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত বা সম্মতি নেওয়ার জন্য একটি গণভোট আয়োজনের কথাও জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

গত পাঁচই অক্টোবর কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ জানান, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ও তাদের সম্মতির জন্য গণভোটের বিষয়ে সব দল একমত হয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, গণভোটের বিষয়ে সব দল একমত হলেও কবে, কিভাবে এবং কোন কোন বিষয় তাতে থাকবে সেটি এখনই চূড়ান্ত নয়।

তবে ঐকমত্য কমিশন সংশ্লিষ্ট একজন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন- এই গণভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। এবং সেটি সরকারের পরামর্শেই তারা করবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেদিন অনুষ্ঠিত হবে, সেই একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সম্ভাব্যতাও যাচাই করা হচ্ছে। তবে সরকার এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না জানানোয় এ নিয়ে এখনই কোনো মতামত দেয়নি কমিশন।

তবে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করা হলে খরচ কিছুটা কম হলেও জনবল ও ভোট কক্ষের সংখ্যাও বাড়াতে হবে।

গণভোট ইস্যুতে সরকার বা নির্বাচন কমিশন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না জানালেও এরই মধ্যে গণভোট ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা মতপার্থক্য ও বিরোধ দেখা যাচ্ছে।

গণভোট ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করা। তবে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল নির্বাচনের আগেই গণভোটের পক্ষে।

যদিও এই গণভোট ইস্যুটি এখনো পুরোটাই ধোঁয়াশার মধ্যেই থাকছে যতক্ষণ না অন্তর্বর্তী সরকার এটি নিয়ে তাদের চূড়ান্ত মতামত জানাচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএম

© Bangladesh Journal

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *